15.1 C
New York

‘রাজকুমার’ বাংলা সিনেমা: ডা. এজাজুল ইসলামের অভিনয়ে নতুন মাত্রা

Published:

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘রাজকুমার’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে ডা. এজাজুল ইসলাম
ছবি : ডা. এজাজের ফেসবুক পেজ

ডা. এজাজুল ইসলাম : আমার মনে হয়, ‘রাজকুমার’ দিয়ে আবার অভিনয়ে প্রাণ পেলাম। করার পরও ভাবছিলাম, সারা দেশ ও সারা পৃথিবীর মানুষ ছবিটা দেখে বলবে, ও, এ তো বাঁইচা আছে এখনো, মরে নাই তো। অনেকেই ভাবছিলেন, আমি মারাই গেছি। শুনতে অন্য রকম মনে হলোও, অবস্থাটা তেমনই। যে বাঙালি কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইউকে ও মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন, তাঁদের সঙ্গে তো আমার দেখা হয় না। তাঁরা তো বাংলাদেশের এসব সিরিয়াল দেখেনও না। এমনটা ভাবতেই পারেন, মারাই গেছি। শুটিংয়ের সময় ও এরপর আমি অনেককে বলেছি, এই ছবি মুক্তি পর ওই সব দেশের বাঙালিরা বলবেন, আরে এই ব্যাটা তো মরে নাই, এই ব্যাটা তো বাঁইচা আছে। (হাসি)।

প্রথম আলো :

প্রথম আলো : বলছিলেন, ছবিটি মুক্তির পর অনেকেই ফোন করছেন। ফোনে তাঁদের কাছ থেকে কোন কথাটা বেশি শুনতে হচ্ছে?

ডা. এজাজুল ইসলাম : সবাই বলছেন, এত পরিমিত অভিনয় করছেন, পরিশীলিত অভিনয় করেছেন এবং রিয়েল কমেডিটা করার চেষ্টাও করেছেন। আমরা তো কমেডিটা ঠিকমতো করতে পারি না—ভাঁড়ামি হয়ে যায়, অতি অভিনয়ের দিকে চলে যায়। পরিমিত, পরিশীলিত  কমেডি কিন্তু হয়ই না। একজন পরিচালকও বোঝেন না, হোয়াট ইজ কমেডি।  সবাই ভাবেন যে কমেডি মানে জোকারি। কমেডি মানে ভাঁড়ামি। কমেডিয়ান মানে হচ্ছে জোকার। আসলে কমেডিয়ান যে গ্রেট অ্যাক্টর, সে যে জোকার না, ভাঁড় না, এটা অনেকেই বোঝেন না। হিমেল আশরাফ একটা বাচ্চা ছেলে, কিন্তু তাঁর যে পরিমিতিবোধ, তার যে দুর্দান্ত কমেডি লেখার দক্ষতা, ‘রাজকুমার’–এ অভিনয় করে আমি জীবন ফিরে পেয়েছি আবার। এমন কথাও শুনছি। আমিও এটা মানছি।

Related articles

Recent articles

spot_img