22.7 C
New York

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী: বাঙালির সমৃদ্ধির পথে রবীন্দ্র-চর্চার গুরুত্ব

Published:

প্রথম আলো :

শুরুতে একটা কথা জানতে মন চাইছে। শান্তিনিকেতনে থাকার সময় কবিগুরুর জন্মদিন কীভাবে পালন করতে দেখেছেন?

অদিতি মহসিন : শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হতো না। কারণ, ওই সময়ে বিশ্বভারতীতে ছুটি থাকত, ২৫ বৈশাখের এই সময়ে ভীষণ গরমও থাকত। অতিরিক্ত গরমে ওই সময় শান্তিনিকেতনের ওখানে পানির স্তরও নিচে নেমে যেত। শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হতো। সে জন্য ১ মে থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া হতো। আর তাই ২৫ বৈশাখে কোনো আনুষ্ঠানিকতা হতো না। তবে আশ্রমে যাঁরা থাকতেন, তাঁরা মন্দিরে প্রার্থনা করতেন। এর বাইরে আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা রবীন্দ্রজয়ন্তী ঘিরে হতো না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকার সময়েও হতে শুনিনি। আমরা যখন পড়াশোনা করেছি, তখনো দেখিনি।

অদিতি মহসিন : বিশ্বব্যাপী যেখানে বাঙালিরা আছেন, সেখানেই রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হয়। এটার কারণ হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ এমন একজন মানুষ, যিনি আমাদের সাহিত্যে বলি, সংগীতে বলি, আমাদের বাঙালিদের আত্মপরিচয়ে বলি—সবখানেই তিনি আছেন। রবীন্দ্রনাথকে ছাড়া তো বাঙালিরা অনেকটাই অসম্পূর্ণ। কারণ, আমরা যা-ই করি না কেন, যদি একটা বইয়ের নামকরণও করতে যাই, কোনো অনুষ্ঠানের নামকরণ করতে যাই—আমরা বরাবরই রবীন্দ্রনাথের কাছে ফিরি। সেই জন্যই হয়তো আমরা এখনো ১৬৩ বছর পরও আয়োজন সাড়ম্বরে পালন করছি। এতে আমরা সমৃদ্ধ হচ্ছি ঠিকই, তবে রবীন্দ্রচর্চা সঠিকভাবে হচ্ছে বলে আমি মনে করি না। যদি প্রশ্ন করা হয়, পর্যাপ্ত কি না, আমি বলব, মোটেও নয়। রবীন্দ্রনাথের যথেষ্ট চর্চা হলে আমরা অনেক দিক থেকে সমৃদ্ধ হতে পারতাম।

Related articles

Recent articles

spot_img