রংপুরের ৬টি আসনে নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একমাত্র দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের তাঁর আসনে ৫৮ হাজার ৫৩৫ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। আসন সমঝোতায় তাঁর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু অন্য আসনগুলোয় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করলেও জি এম কাদেরের আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীও ছিলেন না। সেই সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিলেন না। এখানে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিজড়া আনোয়ারা ইসলাম রানী। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬। জি এম কাদের ভোট পেয়েছেন ৮১ হাজার ৮৬১টি।
সাধারণ ভোটারদের ভাষ্য, অন্যান্য আসনের মতো জি এম কাদেরের আসনে যদি কোনো শক্ত স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী থাকতেন, তাহলে এই আসন নিয়েও হয়তো কিছু ঘটে যেতে পারত। এবারের নির্বাচন প্রতীকের নির্বাচন হয়নি, হয়েছে ব্যক্তির। এলাকায় যাঁর অবস্থান ভালো এবং মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও গণসংযোগ আছে, তাঁরাই ভালো করেছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের এলাকার মানুষের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই, এলাকায় তেমন দলীয় কর্মকাণ্ডও নেই।
জাতীয় পার্টি রংপুর অঞ্চলে দুর্বল হয়ে পড়েছে, এ কথা মানতে নারাজ দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি আজ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ‘রংপুরে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে, প্রভাব কমে গেছে, জনসমর্থন কমে গেছে—এসব কথা রটনা করা হয়। সরকার-সমর্থকদের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়, জাতীয় পার্টি শেষ। আসলে জাতীয় পার্টি আছে, থাকবে।’