Home Defence যে ১০টি অভ্যাসের কারণে চাকরিতে আপনার পদোন্নতি আটকে যেতে পারে

যে ১০টি অভ্যাসের কারণে চাকরিতে আপনার পদোন্নতি আটকে যেতে পারে

355
0
যে ১০টি অভ্যাসের কারণে চাকরিতে আপনার পদোন্নতি আটকে যেতে পারে

৪. অফিসে দেরি করে আসা, তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া

আপনার বসের চোখে হয়তো ব্যাপারটা ধরা না–ও পড়তে পারে। কিন্তু আপনি বারবার এমন করতে থাকলে আপনার সহকর্মীরা ব্যাপারটা ঠিকই খেয়াল করবেন। দেরি করে আসার মানে হলো আপনি আপনার দায়িত্বে অবহেলা করছেন। অন্যের সময়ের প্রতিও আপনার কোনো সম্মান নেই। কারণ, আপনার কাজের সঙ্গে বাকিদের কাজও যুক্ত। তাই পদোন্নতি এবং সহকর্মীর শ্রদ্ধা অর্জন করতে চাইলে সময়মতো অফিসে পৌঁছানোর অভ্যাস করুন এবং এই অভ্যাস ধরে রাখুন।

৫. কেবলই অভিযোগ করা

ক্রমাগত অভিযোগ করা মানুষের আশপাশে কেউ থাকতে চায় না। এমনকি তারা ওই অভিযোগের সঙ্গে একমত হলেও। পেশাগত জীবনে হতাশা আসবেই। কিন্তু অভিযোগ করে কোনো কাজ হবে না। টানা অভিযোগ করতে থাকলে আপনার সহকর্মীরা মনে করবেন আপনি নেতিবাচক মানুষ। এতে তাঁরা আপনার সম্পর্কে দুটো ভালো কথা বলার অবকাশও পাবেন না। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আপনাকে তিরস্কারও করতে পারেন। প্রতিটি পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তা শিখুন। অভিযোগ করা বন্ধ করুন। নেতিবাচক মানুষের কেউই দলে নিতে চায় না। এমনকি যে সমস্যাটি সমাধান করাই সম্ভব নয়, তা নিয়েও অভিযোগ করবেন না। বরং নিজের জায়গা থেকে সমাধানের চেষ্টা করুন।

৬. প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে না বোঝা

প্রাতিষ্ঠানিক সভা–সমাবেশ আপনার পছন্দ না-ই হতে পারে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে থাকলে আপনাকে অবশ্যই কিছু দীর্ঘ আলোচনায় অংশ নিতে হবে। বার্ষিক প্রতিবেদন কিংবা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ধারণবিষয়ক মিটিং বা আলোচনা শুনতে হবে মনোযোগ দিয়ে। এমনকি আপনার প্রতিষ্ঠান ছোট হলেও জ্যেষ্ঠ কর্মীরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যা বলেন, তা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, পদোন্নতি পেতে চাইলে আপনার প্রতিষ্ঠান পরবর্তী পাঁচ বছরে কী কী অর্জন করতে চায়, তা নোট করে রাখুন। এতে আপনিও চিহ্নিত করতে পারবেন, প্রতিষ্ঠানকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আপনার কী কী বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।

৭. সবকিছুতেই ‘না’ বলা

কোনো পরিকল্পনা, আইডিয়া বা কৌশল কেন কাজ করবে না, তা প্রথমেই খুঁজে বের করার অভ্যাস থাকলে আপনার পদোন্নতি ঝুলে থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো এবং গঠনমূলক সমালোচনা করার ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। আপনি যদি ক্রমাগত অন্যদের সৃষ্টিশীল আইডিয়া নাকচ করে দেন, অন্যদের সমাধান ও কৌশল শোনামাত্রই তর্ক শুরু করেন, তাহলে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি এবং অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। খোলামেলা আলোচনার মতো কোনো পরিবেশ সেখানে আর থাকে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here