16.9 C
New York

যে ছয়টি রোজায় এক বছরের রোজার নেকি মেলে

Published:

আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর যুগে ঋতুমতী হতাম; তখন আমাদের এই রোজা পরে কাজা আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হতো; কিন্তু নামাজ কাজা আদায় করার কথা বলা হতো না (ওই অবস্থায় নামাজ মাফ)।’ (বুখারি ও মুসলিম; মিশকাত: ২০৩২) 

রমজানের কাজা রোজা পরবর্তী রমজান মাস আসার পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময় আদায় করা যাবে। রমজানের কাজা রোজা রাখার জন্য যথেষ্ট সময় থাকলে তার আগে যেকোনো প্রকার ওয়াজিব, সুন্নত বা নফল রোজা রাখা যাবে। যেমন ফরজ নামাজ আদায় করার পূর্বে সময় থাকলে নফল নামাজ আদায় করা যায়। সুতরাং শাওয়ালের ছয়টি সুন্নত রোজা রমজানের কাজা রোজা আদায়ের আগেও রাখা যাবে। তবে সম্ভব হলে আগে ফরজ রোজার কাজা আদায় করা উত্তম। (ফাতাওয়া ইসলামিয়া, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ১৬৬) 

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমার ওপর রমজানের যে কাজা রোজা বাকি থাকত; তা পরবর্তী শাবান ব্যতীত আমি আদায় করতে পারতাম না।’ (বুখারি: ১৯৫০; মুসলিম: ১১৪৬) 

যেহেতু রমজানে ফরজ রোজা সবাই রাখেন, তাই সবার সুবিধার্থে ইফতারের পরে একটু বিলম্বে মসজিদে জামাত শুরু করা হয়। রমজান ছাড়া অন্য সময় বিভিন্ন রোজা যেহেতু ব্যাপকভাবে সবাই একসঙ্গে রাখেন না, তাই মাগরিবের জামাতের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে; দীর্ঘ ইফতারের জন্য যেন জামাত ছুটে না যায়। বরং এসব ক্ষেত্রে মসজিদে পানি, খেজুর বা সামান্য কিছু দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ জামাতে আদায় করে পরে সুবিধামতো খাওয়াদাওয়া করা বাঞ্ছনীয়। 

মনে রাখতে হবে, জামাতে নামাজ আদায় করা অন্য সুন্নত–নফল অপেক্ষা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। 

শাওয়াল মাসের গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি আমল হলো ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিদের সুন্নত রোজা রাখা। 

Related articles

Recent articles

spot_img