15.3 C
New York

যেভাবে চিভেনিং বৃত্তি নিয়ে ক্যামব্রিজে পড়ার সুযোগ পেলাম

Published:

ক্যামব্রিজে আমার পড়ার বিষয় হলো মাল্টি ডিসিপ্লিনারি জেন্ডার স্টাডিজ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ও দক্ষিণ এশিয়ায় এই বিষয়ে কাজ ও গবেষণার সুযোগ আছে অনেক। ক্যামব্রিজে নানা দেশের বহু শিক্ষার্থী পড়তে আসেন। বহুজাতিক একটি পরিবেশে নিজের তাগিদে পড়ার এবং শেখার সুযোগ আছে। প্রত্যেক শিক্ষক, অধ্যাপক বেশ আন্তরিক। শুধু গৎবাঁধা লেকচার থাকে না। থাকে আলোচনা সভা, প্রশ্ন-উত্তর পর্ব, নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক সেমিনারসহ আরও অনেক কিছু। শিক্ষা এখানে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও আনন্দময়। আমার সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, আরও নানা দেশের শিক্ষার্থীরাও আছেন। প্রত্যেকের সংস্কৃতি, আচারবিধি ভিন্ন। প্রত্যেকে এই ভিন্নতাকে সাদরে গ্রহণ করে, উদ্‌যাপন করে। এই ধরনের বৈচিত্র্য আর সহনশীল পরিবেশ থেকে অনেক কিছু শেখার-জানার আছে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় মোট ৩১টি কলেজের সমন্বয়ে গড়া। প্রতিটি কলেজই স্বনিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি কলেজ, লাইব্রেরি, অনুষদ, জাদুঘর, ক্যাম্পাস, প্রশাসনিক ভবন, বাগান, হ্রদ, নৈসর্গিক প্রকৃতি—সবকিছুই যেন শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের উর্বরভূমি হিসেবে বিশ্বব্যাপী আলোক বিস্তার করে চলেছে। ক্যামব্রিজ ছোট শহর। পুরোটাই দেখার মতো। এই শহরের প্রতিটা অলিগলি, ভবন আর অবকাঠামো হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। ক্যামব্রিজ শহরের প্রতি পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে শিক্ষা ও ঐতিহ্যের নিদর্শন। দেখে মনে হয়, পুরো ক্যামব্রিজ শহর গবেষণাসংশ্লিষ্ট মানুষে ভর্তি। শহরের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হবে, বেশির ভাগ লোক নিজেদের গবেষণার বিষয় নিয়ে কথা বলছে।
আমি ক্যামব্রিজের পোস্টগ্র্যাড কমিটির সদস্য। আমরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নানা তথ্য দিয়ে সহায়তা করি। এ ছাড়া সামনে নানা প্রোগ্রামের আয়োজনের সঙ্গেও যুক্ত থাকব। এই ধরনের সম্পৃক্ততা সার্বিক বিকাশে আর নেটওয়ার্কিংয়ে বেশ সহায়তা করে। আজ স্বপ্নের এই ক্যাম্পাসে বসে এইটুকুই বলতে চাই—স্বপ্নকে স্বপ্ন নয়, পরিকল্পনা বানাতে হবে। তৎপর থাকতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তাহলে স্বপ্নপূরণের পথে নিজেকে কখন আবিষ্কার করবেন, টেরই পাবেন না।
চিভেনিং বৃত্তির বিস্তারিত জানা যাবে এই ওয়েবসাইট থেকে।

Related articles

Recent articles

spot_img