22.7 C
New York

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের হাত মেলানো এখনো সম্ভব

Published:

প্রথম এবং সবচেয়ে স্পষ্ট ক্ষেত্র হলো জলবায়ু পরিবর্তন, যা উভয় দেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে। যদিও চীন এখনো কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে যাচ্ছে, তবে তারা দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পথে হাঁটছে। চীন দাবি করে, তারা ২০৩০ সাল নাগাদ কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমন হ্রাসে শিখরে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিষ্ক্রিয়তায় পৌঁছাবে। আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা আরও এগিয়ে আনার ব্যাপারে জোর দিয়েছি।

দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি হলো বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এরপর মহামারি আসবে কি না, তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই; বরং কখন আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে। আমরা সবাই একমত যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশই কোভিড মহামারি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে লেজে গোবরে অবস্থা করে ফেলেছি এবং তার কারণে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এ কারণে এ ওর গায়ে কাদা–ছোড়াছুড়ি না করে কীভাবে ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারি, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হতে পারে।

তৃতীয় ক্ষেত্রটি হলো পরমাণু অস্ত্র। চীনের আলোচকেরা বলেছেন, আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকতর আধুনিকায়ন ও উন্নত সাবমেরিন ব্যবস্থা গড়ার বিষয়ে তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবেন। এ ছাড়া পরমাণু অস্ত্র মজুতও তাঁরা অব্যাহত রাখবেন। কারণ, তাঁরা মনে করেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সমান ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু অস্ত্র এখনো তাদের হাতে নেই। তবে তাঁরা পরমাণু আইনকানুন মানা এবং উত্তর কোরিয়া ও ইরানের মতো দেশকে পরমাণু অস্ত্র বিস্তারে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত হতে চান। এ ক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ইতিপূর্বে একসঙ্গে কাজ করেছে।

Related articles

Recent articles

spot_img