এই বাজারে চতুর্থ ও পঞ্চম শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। আলোচ্য দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে ভারত। তাদের রপ্তানি কমেছে পৌনে ১৪ শতাংশ। আর ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি করেছে ৬৬ কোটি ডলারের পোশাক, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘গুদামে পণ্যের মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান আগের চেয়ে দ্রুত বা কম লিড টাইমে পণ্য নিচ্ছে। আমাদের লিড টাইম (ক্রয়াদেশ থেকে পণ্য জাহাজীকরণের সময়) বেশি হওয়ায় এসব ক্রয়াদেশ নিতে পারছি না আমরা। কারণ, আমাদের গভীর সমুদ্রবন্দর নেই। তা ছাড়া গ্যাস-সংকটের কারণে আমাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আগে আমরা ৪০–৬০ দিনে যেসব পণ্য দিতে পারতাম, সেগুলো দিতে এখন লাগছে ৫০–৮০ দিন। ফলে চীন ও ভিয়েতনামের রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ফিরলেও আমরা পারছি না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এটি যদি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের দিকে এগোয়, তাহলে সংকট আবার বাড়বে। কারণ, তখন পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে আরও ঘুরে পাশ্চাত্যের দেশগুলোয় যেতে হবে। সেটি হলে লিড টাইম আরও বাড়বে। অর্থাৎ সামনের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার ওপরও নির্ভর করবে।