15.6 C
New York

যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র আন্দোলন যে সত্যকে সামনে এনেছে

Published:

আমার বয়স যথেষ্ট হয়েছে এবং অনেক বছর ধরে অধ্যাপনা করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভে ফেটে পড়ার অনেক ঘটনা আমি দেখেছি। ধর্মান্ধ জর্জ ওয়ালেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া, ভিয়েতনাম যুদ্ধের ভয়াবহতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো ঘটনায় প্রতিবাদ হতে আমি দেখেছি।

এসব প্রতিবাদের অনেকগুলোই ছিল জোরালো। কিছু প্রতিবাদের সময় ঝামেলাও হয়েছে। কিছু প্রতিবাদের সময় প্রতিবাদকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেখেছি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা ছিলেন অহিংস।

কোনো একজন ছাত্রের ক্ষতি করা ও নিপীড়ন করার মতো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন পুলিশ ডেকে এনেছে, শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও বহিষ্কার করেছে, তখন সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ক্যাম্পাসে মুক্তচিন্তাচর্চাকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সেই ভূমিকা পালন করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রেসিডেন্ট ও ট্রাস্টিদের কাজ অবনমন হতে হতে মূলত তহবিল সংগ্রহকারীর পর্যায়ে নেমে গেছে। সম্পদশালী সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেই তহবিল সংগ্রহ করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কথা বলা যাবে আর কোন কথা বলা যাবে না, সেটা নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁরাই।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তচিন্তার চর্চাকে সুরক্ষা দেওয়ার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকদের আছে। আমি মনে করি, এটা তাদের দায়িত্ব। শাফিকের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানানোর অধিকার ও দায়িত্ব তাদের রয়েছে।

ইয়েল, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিসহ অন্যান্য ক্যাম্পাসে গাজার গণহত্যার প্রতিবাদে যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত দমন না করে সেই আন্দোলন থেকে শেখা।

রবার্ট রাইশ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক শ্রমমন্ত্রী এবং ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জননীতি বিষয়ে অধ্যাপক

দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ মনোজ দে

Related articles

Recent articles

spot_img