17.7 C
New York

যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে রেলকে কি স্বাবলম্বী করা যাবে?

Published:

২৫ বছর আগেও বাংলাদেশ রেলওয়ে ছিল একটি লাভজনক সংস্থা। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে সংস্থাটি যে টাকা আয় করত, তা দিয়ে ট্রেন পরিচালনার সব ব্যয় মেটানোর পরও কিছু টাকা উদ্বৃত্ত থাকত। ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর সংস্থাটিতে এমন উদ্বৃত্ত ছিল প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, লাভজনক থেকে ক্রমেই লোকসানি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে রেল।

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলের আয় ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, আর ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে রেলের মোট লোকসান হয় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। লোকসানের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে রেলওয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও। ২৫ বছর আগে যেখানে ১ টাকা আয় করতে গিয়ে ৯৬ পয়সা ব্যয় করতে হতো সংস্থাটিকে, সেখানে বর্তমানে ১ টাকা আয় করতে গিয়ে রেলওয়ের ব্যয় হচ্ছে ২ টাকা ৭৮ পয়সা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের আয়ের প্রধান খাত যাত্রী পরিবহন। মোট আয়ের ৬০ শতাংশের বেশি আসে এ খাত থেকে। অন্যদিকে সংস্থাটির মোট আয়ের ২০ শতাংশ আসে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে। জমি ইজারা, ক্যাটারিংসহ বিবিধ খাত থেকে আসে অবশিষ্ট আয়। বিপরীতে সংস্থাটির পরিচালন ব্যয়ের সবচেয়ে বড় খাত ইঞ্জিন-কোচ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ। 

একটি ট্রেনে কোন ধরনের কোচ কতটি থাকবে, তার ওপরও ট্রেনপ্রতি আয় নির্ভর করে। যদি জনপ্রিয় কোনো ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণির শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কোচের আসনবিন্যাস পরিবর্তন করে ৬৪ জনের জায়গায় ৮০ জনের করা যায়, তাহলে কোচপ্রতি আয় বাড়বে। এরপর আছে বগির সংখ্যা—বাংলাদেশে আমদানি করা ইঞ্জিনগুলো ২৫টি বগি বা কোচ নিয়ে চলতে সক্ষম। কিন্তু বাংলাদেশে তা ১০-১২টি বগি নিয়ে চলাচল করে। অথচ বগির সংখ্যা বাড়ালে ট্রেনের আয় বাড়ে, কিন্তু খরচ প্রায় একই থাকে। কারণ রেললাইন, ইঞ্জিন, গার্ড, চালক, প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদির অনেক খরচই বগির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

Related articles

Recent articles

spot_img