এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামী শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে কংগ্রেসের কোনো মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন না। এমনকি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও ওই বৈঠক বর্জন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রতিনিধি ডেরেক ওব্রায়েন ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানান, তাঁদের নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। সেই বৈঠকে তিনি বিরোধী রাজ্যের বঞ্চনার ইতিবৃত্ত তুলে ধরবেন।
ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন, আম আদমি পার্টির পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান (দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলে), কেরালার সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কী করবেন, তা এখনো জানা যায়নি। নীতি আয়োগের ওই বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
আজ সকালে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই ইন্ডিয়া জোটের সাংসদেরা সংসদ ভবনের দরজার সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাতে অংশ নেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, এসপি, এনসিপি (শরদ), শিবসেনাসহ (উদ্ধব) ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। প্ল্যাকার্ডগুলোয় লেখা বাজেটে বঞ্চিত হওয়ার কথা। বিরোধীরা এই বাজেটকে ‘লজ্জার’, ‘জনবিরোধী’ ও ‘ধ্বংসাত্মক’ বর্ণনা করে বলেন, মোদির চিন্তায় সরকারের অস্তিত্বরক্ষা ছাড়া আর কিছু ছিল না। তাই সবার স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু দুই শরিকের কথা তিনি ভেবেছেন। রাহুল বলেন, ‘এটা মোদির কুর্সি বাঁচানোর বাজেট।’