দ্বিতীয় আবেদন পাঠিয়েছে ‘সংবিধান বাঁচাও নাগরিক অভিযান’ নামের আরেকটি সংগঠন। তাতে সই করেছেন ১৭ হাজার ৪০০ মানুষ। সেই আবেদনে বলা হয়েছে, এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের পাশাপাশি ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনও ভঙ্গ করেছেন। কারণ, ওই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শুধু সাম্প্রদায়িকতাতেই উসকে দেননি, মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ঘৃণাও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এই সংগঠনের স্বাক্ষরদাতারা আরও বলেছেন, কংগ্রেস দল, তাদের ইশতেহার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মোদি শুধু নির্জলা মিথ্যাই বলেননি, মুসলমানদের তিনি অনুপ্রবেশকারী বলেছেন। অসম্মান করেছেন গাদা গাদা সন্তান উৎপাদন করে বলে। আবেদনে তাঁরা বলেছেন, এখনই মোদিকে ভর্ৎসনা করা হোক। তাঁর প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক, যা এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে কমিশন করেছে।
কিন্তু কমিশন অদ্ভুতভাবে নির্বিকার ও নিরুত্তর। এত গুরুতর মন্তব্যের পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, কোনো মন্তব্য পর্যন্ত তারা করেনি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন আগামী শুক্রবার।
২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টে এক মামলায় হলফনামা দিয়ে ইসি বলেছিল, ঘৃণা ভাষণ বন্ধে নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই বলে কোনো রাজনৈতিক দল বা তার নেতাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা তাদের নেই। তবে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী তারা এ ধরনের ঘটনায় কিছু কিছু ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
ওই মামলাটি করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। আবেদনে তিনি বলেছিলেন, ঘৃণা ভাষণ নিয়ে আইন কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশ কেন্দ্রীয় সরকার রূপায়ণ করুক।