15.2 C
New York

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে বাংলাদেশের এ কেমন ‘নিরপেক্ষতা’

Published:

জানুয়ারি মাসে মিয়ানমার সেনা এবং আরাকান আর্মির লড়াই পৌঁছে যায় রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে। এই লড়াইয়ে সীমান্ত অশান্ত হয়ে উঠেছে, মর্টার বা কামানের গোলা এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভেতরে, মৃত্যু হয়েছে অন্তত দুজনের। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে এসেছেন সীমান্ত থেকে দূরে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ) ৬৮ জন সদস্য (মতান্তরে ১০০ জন) মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় এবং বিজিবি তাঁদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেয়। এরপর বেশ কিছুদিন এই ধারা অব্যাহত থাকে এবং পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ৩৩০-এ পৌঁছায়। তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ তাঁদের আকাশপথে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল। অজ্ঞাত কারণে মিয়ানমার তাঁদের নৌপথে ফিরিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ করে এবং বাংলাদেশ তাতে সম্মত হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিজিবির তত্ত্বাবধানে নৌবাহিনীর ইনানী জেটিতে তাঁদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মিয়ানমার সেনা এবং আরাকান আর্মির লড়াই যথারীতি অব্যাহত আছে এবং যতটা দেখা যাচ্ছে, ধীর—কিন্তু নিশ্চিতভাবেই আরাকান আর্মির কাছে ভূমি হারাচ্ছে সেনাবাহিনী। যুদ্ধে পরাস্ত বা কোণঠাসা সেনাদের ছোট ছোট দল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে।

বিজিপি ও সেনাসদস্য মিলিয়ে সর্বশেষ এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮৮ জনে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর ২৫ এপ্রিল তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো হয়। অন্যদিকে এর এক দিন আগে অবশ্য মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে আটক ১৭৩ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। 

Related articles

Recent articles

spot_img