24.8 C
New York

মালদ্বীপে কি চীনের প্রভাব আরও বাড়বে

Published:

পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু অবকাঠামোগত উন্নয়নকে উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তিনি বেশ কিছু দর্শনীয় মেগা প্রকল্পের কথা বলেছিলেন। এই মেগা প্রজেক্টগুলো তিনি শেষ করতে পারবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। 

পর্যটননির্ভর দ্বীপদেশটির ঋণ তার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর অর্ধেকের বেশি চীন ও ভারতের কাছ থেকে নেওয়া। এর পরিমাণ প্রায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সতর্ক করে দিয়েছিল যে মালদ্বীপ উচ্চ ঋণসংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে। সংস্থাটি স্বাস্থ্যসেবা এবং ভর্তুকি কর্মসূচির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলোর সংস্কারসহ ‘জরুরি নীতি সমন্বয়’ করার আহ্বান জানিয়েছে। 

লন্ডনভিত্তিক আর্থিক পরামর্শ প্রদানকারী রেডের (আরইডিডি) সিনিয়র বিশ্লেষক মার্ক বোহলুন্ড বলেছেন, ‘পরিস্থিতিটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। আমি মনে করি মালদ্বীপের কোনো না কোনো আকারে বাইরের সমর্থন প্রয়োজন হবে। সেটা ভারত, চীন বা মধ্যপ্রাচ্য—যেখান থেকেই হোক।’ কিন্তু এখন পর্যন্ত খুব কম সাহায্য আসছে। 

কোভিড-১৯ মহামারির সময়সহ প্রায়ই মালদ্বীপকে আর্থিকভাবে বড় ধরনের সহযোগিতা করেছে ভারত। কিন্তু ৭৫ জন ভারতীয় সামরিক কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠাতে মুইজ্জুর চেষ্টার কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এখন সর্বকালের সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ভারতীয় সেনাদের শেষ ব্যাচটির আগামী ১০ মে মালদ্বীপ ত্যাগ করার কথা রয়েছে। 

সম্পর্কে ফাটল ধরার পর গত জানুয়ারিতে মালদ্বীপের উত্তরে অবস্থিত ভারতের লাক্ষা দ্বীপে পর্যটন বাড়ানোর জন্য একটি প্রচারণা শুরু করেছিল ভারত। তখন মুইজ্জুর তিনজন উপমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই মালদ্বীপের পর্যটন বর্জনের আহ্বান জানায়। ভারত থেকে মালদ্বীপে আসা পর্যটকদের সংখ্যা গত বছর ছিল সর্বোচ্চ। এ বছর এটা অনেক কমে গেছে। 

Related articles

Recent articles

spot_img