বলের অপ্রত্যাশিত মুভমেন্ট ও অসম বাউন্সে কেপটাউনের পিচ শুরু থেকেই ব্যাটসম্যানদের জন্য দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে। গতকাল পড়েছিল ২৩ উইকেট, যা কোনো টেস্টের প্রথম দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যেকোনো দিনে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। আজ এইডেন মার্করামের দুর্দান্ত এক শতকের পরও দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমেছে ১৭৬ রানে। কেপটাউন টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করতে ভারতের সামনে লক্ষ্য ৭৯ রান।
আজ দ্বিতীয় দিনেও ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল থামেনি। ৩ উইকেটে ৬২ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা আর ৪৯ রান যোগ করতেই হারায় আরও ৪ উইকেট, লিড তখন মাত্র ১৩ রান। যশপ্রীত বুমরার তোপে একের পর এক সতীর্থের আসা-যাওয়া দেখে আরেক প্রান্তে দেয়াল তুলে দাঁড়ানো এইডেন মার্করাম ততক্ষণে বুঝে গেছেন, আর পড়ে থেকে লাভ নেই। এরপর ‘আক্রমণই প্রতিরক্ষার সেরা উপায়’—কথাটিকে যেন নতুন করে প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান।
অষ্টম উইকেট জুটিতে সঙ্গী হিসেবে পাওয়া কাগিসো রাবাদাকে নির্ভয় দিয়ে ওপেনার মার্করাম ভারতীয় বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন। করেছেন দুর্দান্ত এক শতক। ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে অসাধারণ এই ইনিংস দেখে কেপটাউনের দর্শকেরা তো বটেই, বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা ডিন এলগারও উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান দাঁড়িয়েছেন।
তবে খানিক বাদে মার্করাম আউট হতেই আবারও সেই পুরোনো গল্প। আর ১৪ রান যোগ করতেই বাকি ২ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৭ চার, ২ ছক্কায় ১০৩ বলে ১০৬ রান করেছেন মার্করাম। ৩৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ষষ্ঠ শতক আর বলের হিসেবে দ্রুততম। ৬১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সেরা বোলার বুমরা। টেস্টে এ নিয়ে তৃতীয়বার ৬ উইকেট নিলেন বুমরা।