জাহিদ ফারুকের ঘনিষ্ঠ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জাহিদ ফারুক সজ্জন ব্যক্তি। এলাকার উন্নয়নে গত পাঁচ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন। দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির অভিযোগ না থাকায় মানুষ তাঁর প্রতি আস্থাশীল। এ ছাড়া প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না বলে মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে। অন্যদিকে সালাহউদ্দিনের এলাকায় পরিচিতি নেই। টাকা দিয়ে কিছুটা মাঠ গরম করা সম্ভব হলেও ভোট নেওয়া যায় না। তাঁর (সালাহউদ্দিন) পেছনে যারাই থাকুক, জাহিদ ফারুক বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
তবে সালাহউদ্দিনের সমর্থকেরা বলছেন, সালাহউদ্দিন দীর্ঘদিন সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নারী-পুরুষকে তাঁর বেসরকারি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নানা সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁর বড় একটি ভোটব্যাংক তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি সাদিক আবদুল্লাহ ও বিএনপির সমর্থক ভোটারদেরও তিনি সমর্থন পাবেন।
সালাহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এবারের নির্বাচনে বরিশালের সাধারণ ভোটাররা তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন বলে তিনি আশা করছেন। এটা বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন তাঁর প্রচারে বাধা দিচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের হুমকি, মারধর ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি জয়ী হবেন। অভিযোগের বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দীন বলেন, এলাকায় তাঁর (সালাহউদ্দিন) গ্রহণযোগ্যতা একেবারেই নেই। নিজের গুরুত্ব বাড়াতে উল্টাপাল্টা অভিযোগ করে ভোটের মাঠে তিনি নিজের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছেন।