ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, মমতা দিদি মা-মাটি-মানুষের কথা বলে বাংলার ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু এখন তিনি মোল্লা ও মাফিয়াদের নিয়ে সরকার গড়ে তুলেছেন। এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা, মমতা-অভিষেকের বিদায় নেওয়ার পালা।
লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোটগ্রহণের আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভার রসুলপুরে নির্বাচনী জনসভা অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এদিন ‘বর্ধমান পূর্ব’ লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কবিয়াল অসীম সরকারের সমর্থনে জনসভায় অংশ নেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, অসীম সরকারকে যত ভোট দেবেন, ততই শক্ত হবে মোদীর হাত। ৩০টি আসনে মোদীকে জেতান, আমরা বাংলাকে দেশের এক নম্বর রাজ্য বানিয়ে দেবো। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নও পূরণ করবেন মোদী। মমতা ব্যানার্জী মা-মাটি-মানুষের কথা বলেছিলেন। কিন্তু আসলে মা-মাটি-মানুষের সরকার ফিরিয়ে আনতে পারেন মোদী।
মমতা দিদি রাম মন্দিরে কেন যাননি- এই প্রশ্ন তুলে অমিত শাহ বলেন, দেশের মানুষ ও রাম ভক্তরা চাইতেন রাম মন্দির তৈরি হোক। যখন মন্দির তৈরি হলো, তখন মমতা দিদিকে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি গেলেন না। কেন গেলেন না জানেন? কারণ তিনি ভয় পান।
সভামঞ্চ থেকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুংকার দিয়ে বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের পরে সহিংসতায় নিহত বিজেপি কর্মীদের হত্যাকারীদের পাতাল থেকে খুঁজে বের করে জেলে ঢোকাবে বিজেপি সরকার। সন্দেশখালীর ঘটনায় দোষীদেরও কারাগারে পাঠানো হবে।
‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রথম শ্রেণীর নেতা ও মন্ত্রীরা জনসভা করতে এলে, থাকার জন্য ভালো হোটেল পান না, গাড়ি পান না। আমাদের নেতারা হোটেল বুক করতে বাধার মুখে পড়েন। যে হোটেল বুক হয়, সেটা তৃণমূলের গুন্ডারা খালি করে দেয়। মমতা ও অভিষেক বিজেপিকে ভয় পান বলেই এসব কাজ করান।’
এদিন বক্তব্যের শেষদিকে অমিত শাহ বলেন, মমতা দিদি মা-মাটি-মানুষের কথা বলে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তিনি সরকার গড়লেন মোল্লা ও মাফিয়াদের নিয়ে। আপনারা মা-মাটি-মানুষের সরকার ফিরিয়ে আনতে চান? তাহলে নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিন, কারণ একমাত্র তিনিই সেটা করতে পারেন।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে কার্যকর হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন মমতা ব্যানার্জী। সেই বিরোধিতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন করলেন মোদী। কিন্তু মমতা দিদি সেই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন। অথচ আমরা বলছি, প্রত্যেককেই ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
ডিডি/এসএএইচ
