সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে গত এক সপ্তাহে একাধিকবার গিয়ে ২০১৮ সালের পর আবদুস সোবহানকে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া-সংক্রান্ত কোনো প্রজ্ঞাপন বা সরকারি চিঠিপত্র পাওয়া যায়নি। আবদুস সোবহান যে নিজেকে অবৈতনিক বিশেষ সহকারী দাবি করেছেন, সে বিষয়েও কোনো প্রজ্ঞাপন পাওয়া যায়নি।
সাধারণত কোনো মন্ত্রী বা সচিব পদমর্যাদার কেউ অবৈতনিক দায়িত্ব পালন করলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে তা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের নিয়োগ অবৈতনিক ঘোষণা করে গত ১৮ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পেলেও সালমান এফ রহমান সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন না।
আবদুস সোবহান এখন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে রয়েছেন কি না, তা জানতে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের দপ্তরে যান এই প্রতিবেদক। অবশ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কে হবেন, সে তালিকা আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শুধু প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে আবদুস সোবহানের বিষয়ে কোনো তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় নেই।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি আবদুস সোবহানের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি সরকারি পদে না থেকেও কীভাবে বাংলোবাড়িতে থাকছেন। কিন্তু কোনো জবাব দেননি।