লিখিত অভিযোগে আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, গতকাল বিকেলে তিনি নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে লেখেন, ‘লিখতে পড়তে না জানা লোকও প্রেসক্লাবের সভাপতি হয়, এটা মনিরামপুরে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।’ এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে মনিরামপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানের মুঠোফোন নম্বর থেকে তাঁর ফোনে একটি কল আসে। লুৎফর রহমান নিজের পরিচয় দিয়ে মোবাইলে তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে তিনি দুই দিনের মধ্যে তাঁর (সাংবাদিক) চোখ তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। যার কল রেকর্ড সংরক্ষিত আছে। মনিরামপুরে সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠন আছে। তাঁর পোস্টে তিনি কারও বা সংগঠনের নাম উল্লেখ করেননি। লুৎফর পোস্টটি নিজের দিকে নিয়ে তাঁকে হুমকি দেন। ঘটনার পর তিনি ও তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন।
এদিকে গতকাল রাত থেকে মুঠোফোনে কথোপকথনের একটি রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে যুবলীগ নেতা লুৎফর রহমানকে পরিচয় দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘এই আনোয়ার কী লিখিছো ফেসবুকি? কী লিখিছো আমারে নিয়ে? ওই যে অশিক্ষিত, প্রেসক্লাবের সভাপতি।…তুই কি আমারে ভালো করে চিনিস?…শালার বেয়াদব। শালার জামাত।…এই কত টাকা পাইছিস?…তোর চোখ উঠায়ে নেব। দুই দিন পর ওঠাব। দুই দিন পর তোর চোখ ওঠাব।…তুই প্রস্তুত হ। ২০০ টাকার সংবাদিক তুই। এই তুই কোন পত্রিকায় লিখিস?…আমি দুটো পত্রিকার মালিক। তুই লিখলি কেন? তোর হাত কত বড়? শালার জামাত। তোরে দেখে নেব আমি।’