তুরস্কের নিজেদেরই সমস্যা রয়েছে। কিন্তু অংশীজনদের কাছাকাছি নিয়ে আসার ব্যাপারে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে দেশটি। এ ধরনের উদ্যোগে আঞ্চলিক প্রভাব আছে এমন দেশ, যেমন রাশিয়া, ইরাক, সিরিয়া ও ইরানও যুক্ত হতে পারে। সবাই স্বতন্ত্র উদ্যোগ নিতে পারে, একে অন্যকে হুবহু নকল করার প্রয়োজন নেই।
কুর্দি সমস্যা মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি মাথাব্যথার কারণ। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পর বিপরীত শিবিরে অবস্থান করলেও দুই পক্ষই কুর্দি ইস্যুতে সমর্থন দেয়। মস্কো বারবার বলে চলেছে, যাতে সিরীয় কর্তৃপক্ষ তাদের সেনাবাহিনীতে আলাদা একটা ব্রিগেড হিসেবে কুর্দি যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করে চলেছে ইউফ্রেটিস নদীর পূর্ব দিকে সিরিয়ার ভূখণ্ডে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চল তৈরি করার জন্য।
ইরাক ও সিরিয়ায় যে সন্ত্রাসের জন্ম হচ্ছে, সেটা নির্মূল করার বিকল্প নেই তুরস্কের। কয়েক দশক ধরে তুরস্ক সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু বাস্তব পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ছাড়া তুরস্কের পক্ষে সেটা করা অসম্ভব।
মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাচিন্তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ হলো ইসরায়েলের নিরাপত্তা। এই বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির মূল স্তম্ভ হলো ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র এই নীতি থেকে সরে আসবে, এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা মিত্ররা ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া থেকে সরে আসবে না।