14.6 C
New York

ভোটে জেতা নিশ্চিত করার ‘সৃজনশীল’ ছয় ফন্দি ফিকির

Published:

এই তিন কাজে যখন আপনি সফল হবেন, তখন না হবে আপনার সমালোচনা, না খাবেন নিষেধাজ্ঞা, না কোনো বিচার।

জানিয়ে রাখি, ভোট চুরির নানা পদ্ধতির জনক যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কয়েক শ বছর আগে যুক্তরাজ্যে এক জমিদারির অধীন চাষাভুষা সব লোকের ভোট জমিদার পেতেন। ভোটে জিততে তারা জমিদারিতে লোকজন এনে বসাতেন।

জেরিম্যানডারিং বলে একটা কথা আছে। যাকে সোজা বাংলায় সীমানা পুনর্নির্ধারণের চক্কর বলা যায়। এর জনক এলব্রিজ জেরি। ১৮১০ সালে তিনি ছিলেন ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর ও থমাস জেফারসনের দল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান পার্টির সদস্য।

দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো ভোটার আইডিকার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ছলচাতুরী করা। কেনিয়া, মালাওয়ি ও তানজানিয়ায় এমন ঘটেছিল। দেশগুলোর বিরোধী দলের অভিযোগ ছিল, তাদের সমর্থকেরা পরিচয়পত্র ও ভোটার রেজিস্ট্রেশন কার্ড করতে পারেননি। ফলে তাঁরা ভোটও দিতে পারেননি।

নতুন যে টুলটি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা হলো অপতথ্য ছড়ানো। কেনিয়ায় ২০১৭ সালে ভোটের আগে বিশ্বাসযোগ্যভাবে কিছু তথ্য উত্থাপন করা হয়। লোকজনকে বলা হয়, পছন্দের প্রার্থীর নামে টিক ও বাকিদের ক্রস চিহ্ন দিতে হবে। আসলে পছন্দের প্রার্থীর নামের নিচ টিক অথবা ক্রস দেওয়ার কথা। ব্যাপক ভিত্তিতে এই খবর ছড়ানোয় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রও পিছিয়ে নেই।

২০০৮ সালে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোট ঠেকাতে ভার্জিনিয়ায় ফ্লায়ার ছড়ানো হয়েছিল। দেখতে সরকারি নথির মতো। ওতে লেখা, ভোটারের সংখ্যা অনেক। তাই রিপাবলিকানরা ভোট দেবে ৪ নভেম্বর, আর ডেমোক্র্যাটরা ৫ নভেম্বর।

Related articles

Recent articles

spot_img