নির্বাচনের ১১ দিন পর ভোটের হারের সংশোধিত পরিসংখ্যান প্রকাশ বিরোধীরা মোটেই স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না। কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে ‘ইন্ডিয়া’ নেতাদের সেটাই মনে করিয়ে চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি ৫২ বছর ধরে ভোট দিচ্ছি। কখনো ভোটের হারে এমন হেরফের দেখিনি।’
খাড়গের প্রশ্ন, ‘যে কমিশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোটের হার প্রকাশ করে এসেছে, তারা কেন এত দেরিতে জাগল? তবে কি ইভিএমে সমস্যা হয়েছে? কোন আসনে কত ভোট পড়েছে, তা জানানো হয়নি। এমন নয় তো ২০১৯ সালে বিজেপি যেসব আসনে পিছিয়ে ছিল, শুধু সেখানেই এবার ভোটের হার বেড়ে গেল? এর মধ্য দিয়ে কি চূড়ান্ত ফল পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র চলছে?’
একই প্রশ্ন তুলে এবং একই ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে কমিশনকে লেখা চিঠিতে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান তিনটি দাবি জানিয়েছেন। এক. লোকসভাভিত্তিক কত ভোটদাতা জানাতে হবে। দুই. কত বৈধ ভোটার অংশ নিয়েছেন। এবং তিন. দুই দফায় ভোটার পিছু কতগুলো ইভিএম ব্যবহার হয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটের পর ইসি জানিয়েছিল ভোটের গড় হার ৬০ শতাংশ। ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটের পর বলা হয়, ভোট পড়েছে ৬০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। অথচ ৩০ এপ্রিল ইসি সংশোধিত হার পেশ করে জানায়, প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৬৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, দ্বিতীয় দফায় ৬৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।
ইসির হিসাবে ভোটের হার আচমকাই ৬ শতাংশ করে বেড়ে যায়! সন্দেহ সেখানেই। ইসির নিরপেক্ষতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের ঘৃণা ভাষণ বন্ধে তারা এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।