সংখ্যা, প্রাচীনত্ব, আকার ইত্যাদি নানা বিবেচনায় বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মীয় ঐতিহ্যপূর্ণ স্থাপনা বা স্থানের সংখ্যা অনেক। এখন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর যেসব খননকাজ করে, সেগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ বৌদ্ধধর্মের কোনো না কোনো নিদর্শন। দেশে এসব ঐতিহ্যের এত দর্শনীয় স্থান থাকলেও এর জন্য কোনো প্রচার নেই। অথচ এ দেশে বৌদ্ধধর্মীয় ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানের পর্যটনের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
এ অবস্থায় আজ ১৮ এপ্রিল পালিত হচ্ছে বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বৈচিত্র্যের আবিষ্কার ও অভিজ্ঞতা’। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বৈচিত্র্যময় উপাদান বৌদ্ধধর্মীয় ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান। কিন্তু এর বিকাশে সরকারি উদ্যোগ নেই বললেই চলে।
দেশের বৌদ্ধধর্মীয় ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলোর একটি হলো নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর বা সোমপুর মহাবিহার। এখানে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি পর্যটক এসেছেন। এর মধ্যে দেড় হাজারের বেশি ছিলেন বিদেশি পর্যটক। আগের অর্থবছরে (২০২২-২৩) এখানে পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ লাখ। তাঁদের মধ্যে বিদেশি ছিলেন এক হাজার এক শতাধিক।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, এখানে আসা বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাপানি পর্যটক। তাঁরা বৌদ্ধধর্মীয় স্থান হিসেবে এখানে আসেন। তবে শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের অনেক পর্যটকও এখানে আসতে পারেন। প্রচার থাকলে তা সম্ভব হতো।
ফজলুল করিমের অধীন নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলা রয়েছে। তিনি জানান, এ অঞ্চলে যত খননকাজ হয়, তার মধ্যে বেশির ভাগ বৌদ্ধ ঐতিহ্যসংক্রান্ত। এ অঞ্চলের বড় ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলোও বৌদ্ধধর্মীয় ঐতিহ্যের নিদর্শন।