15.9 C
New York

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় অতিক্রম করতে হয় তিন ধাপ

Published:

দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিংবিষয়ক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এতে নিজের ভুলভ্রান্তি, টাইম ম্যানেজমেন্ট, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কতটা প্রশ্ন উত্তর করতে পারা যাচ্ছে, তার ধারণা লাভ করতে পারবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উচ্চতর দক্ষতাসম্পন্ন ম্যাথ সমাধান করার অনুশীলন হয়ে যাবে এবং যে যে প্রশ্নের সমাধান করা যায় না, সেগুলো বাসায় এসে সমাধান করতে হবে। কিন্তু পরীক্ষা খারাপ হলেও হতাশ না হয়ে কোন কোন টপিকে দুর্বলতা আছে, সেটি বের করে সংশোধন করলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভালো কিছু করা সম্ভব। নিজের পড়া ও বিভিন্ন পরীক্ষা দেওয়ার মধ্যে একটা সাম্য বজায় রাখতে হবে।

যেহেতু প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বহুনির্বাচনীপদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য মোট ১ ঘণ্টা সময় পাবেন। যতটা সম্ভব নির্ভুলভাবে এমসিকিউ সমাধান করতে হবে, কেননা প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যায়। প্রতিটি বিষয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ে এমসিকিউ শর্টকাট নিয়ম থাকে এবং গণিত বিষয়ের বিভিন্ন ম্যাথ ক্যালকুলেটরে (math calculator) সরাসরি করা যায়। এই সময় থেকে এগুলো অনুশীলন করতে হবে। এত করে কম সময়ে যথেষ্ট বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সেটি হলো, প্রিলিমিনারির জন্য লিখিত পড়া অবহেলা করা যাবে না। বরং লিখিত অংশের জন্য পড়লে প্রিলিমিনারির ৭০ শতাংশ অংশ কভার হয়ে যায়।

লিখিত পরীক্ষায় ৪০টি প্রশ্ন থাকে। যেখানে গণিত বিষয়ে ১৪টি, পদার্থবিজ্ঞানে ১৩ ও রসায়ন বিষয়ে ১৩টি প্রশ্ন এসে থাকে। লিখিত প্রশ্ন সহজ, মধ্যম ও কঠিন তিন ধরনের সমন্বয়ে হয়ে থাকে। প্রথম সহজ প্রশ্নগুলো উত্তর করা বুদ্ধিমানের কাজ। এরপর মধ্যম, তারপর কঠিন প্রশ্ন। প্রথমেই কঠিন প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ানো যাবে না। মনে রাখতে হবে, যিনি যত প্রশ্ন নির্ভুলভাবে উত্তর করতে পারবেন, তাঁর উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। সর্বোপরি পরীক্ষায় যত বেশি নিজের স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, তাঁর যেকোনো ধরনের প্রশ্ন সমাধান করা সহজ ও দ্রুত হবে।

  • লেখক: রামিস মুবাশশিরা মৌনতা, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যন্ত্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

Related articles

Recent articles

spot_img