আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ১০০ অতি প্রয়োজনীয় ও নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের দাম আগামী দুই বছরে কতটা বাড়তে পারে বা কতটা কমতে পারে, সেই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক কমোডিটি আউটলুক প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনের উল্লেখ করা পণ্যের তালিকা ধরে বাংলাদেশ যে ১০টি নিত্যপণ্য তুলনামূলকভাবে বেশি আমদানি করে, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের পূর্বাভাস অনুসারে, ওই ১০টি পণ্যের মধ্যে ৬টি পণ্যের দাম কমবে, আর বাকি ৪টির দাম বাড়বে। দাম কমতে পারে এমন ছয়টি পণ্য হলো ইউরিয়া সার, কয়লা, এলএনজি, চিনি, গম ও ভুট্টা। আর দাম বাড়তে পারে জ্বালানি তেল, পাম তেল, সয়াবিন তেল ও তুলার। দেশের প্রধান আমদানি পণ্য তালিকায় এই ১০টি পণ্য বিশাল জায়গা দখল করে আছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিনি, গম, ভুট্টার মতো খাদ্যপণ্যের কম কমতে পারে, এটা আমাদের জন্য সুখবর। আমরা চাল আমদানি করি না। তবে গমের ওপর অনেক নির্ভরশীল। তাই খাদ্য পণ্যের দাম কমলে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও কমবে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি স্বস্তিকর হবে।’
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘জ্বালানি তেল মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এমনিতেই বেশি আছে। কিন্তু জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতি জড়িত। এখন যুদ্ধের কারণে দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর আমাদের হাত নেই।’