মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে। তাই এ শ্রেণির মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচলিত ধারায় ব্যয় বাড়াতে হবে ওএমএস কার্যক্রমে। তা ছাড়া সার্বিকভাবে অর্থনীতির জন্য কিছু খারাপ হলেও মূল্যস্ফীতির কশাঘাত থেকে জনগণকে কিছুটা হলেও সুরক্ষা দিতে নীতি সুদহারের পাশাপাশি ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার আরও বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে আমদানিকারকদের আলোচিত সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি যথাযথভাবে মনিটরিং কার্যক্রমও পরিচালনা করতে হবে।
তারপরও শুধু ব্যয় সংকোচন আর কিছু প্রকল্প কাটছাঁট করলেই আকাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে না। রাজস্ব আয় বাড়ানো ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন প্রণোদনার জন্য ব্যাপক সংস্কারেরও যে কোনো বিকল্প নেই, সে কথাও জোরের সঙ্গে বলা হচ্ছে।
উচ্চারিত হচ্ছে, ‘হোয়াই উই আর পুওর বিকজ উই আর পুওর’ বা সক্ষমতার অভাব, এমনকি ‘হোয়াট টুক আস হেয়ার মে নট টেক আস দেয়ার’ বা যে অর্জন বা দাওয়াইগুলো আমাদের সাফল্যের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, সেই একই দাওয়াই আমাদের ভবিষ্যতে সম্ভাব্য গন্তব্যে না–ও নিয়ে যেতে পারে।
এর জন্য প্রয়োজন সরকার, ব্যক্তি খাত আর উন্নয়ন সহযোগীদের সম্মিলিত প্রয়াস। প্রয়োজন বাজেট প্রণয়ন, বিশেষ করে সম্পদ সঞ্চালন ও সঠিক ব্যবহারে অভিনব উদ্যোগ। বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোয় আরও জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার প্রতিফলন প্রয়োজন।
● মামুন রশীদ অর্থনীতি বিশ্লেষক