12.7 C
New York

বাঙালি নায়িকা কেমন হবে, কবরী ছিলেন তার সংজ্ঞা…

Published:

রোমান্টিক, সামাজিকসহ সব ধরনের সিনেমায় অভিনয় করে কোটি মানুষের মন জয় করে নেন তিনি। ১৯৬৪ সালে ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক। তিনি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। পুরো নাম তাঁর সারাহ বেগম কবরী। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’ ছবির পরের বছর তিনি অভিনয় করেন ‘জলছবি’ ও  ‘বাহানা’য়। ১৯৬৮ সালে ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরী’, ‘যে আগুনে পুড়ি’। ১৯৭০ সালে ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচূর্ণ, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বিনিময়’ ছবিগুলো। কবরী অভিনীত ‘ময়নামতি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সারেং বৌ’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘সুজন সখী’র মতো ছবির মাধ্যমে দর্শক অবাক বিস্ময়ে দেখেছেন কবরীর অসামান্য এক অভিনেত্রী হয়ে ওঠা। অভিনয়ে, প্রযোজনায়, পরিচালনায় সাত দশকের জীবনটা এক আশ্চর্য সফলতার গল্প।

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে ‘মিষ্টি মেয়ে’ কথাটি বললেই যে নায়িকার নামটি মাথায় আসে, তিনি একজনই—কবরী। চট্টগ্রামের মীনা পাল চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়ে কবরী হয়ে ওঠেন। মিষ্টি হাসি ও ব্যতিক্রম অভিনয়ে জায়গা করে নেন দেশের কোটি মানুষের অন্তরে। এ দেশের সিনেমাকে যাঁরা সমৃদ্ধ করেছেন, তাঁদের মধ্য তিনি অন্যতম।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। তারপর টেলিভিশন ও সব শেষে সিনেমায়। শুরুর জীবনে কবরী বিয়ে করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সম্পর্কচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাঁর সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী ছিলেন পাঁচ সন্তানের মা।

Related articles

Recent articles

spot_img