ভারতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তিনি সেখান থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সম্মেলনে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল আগামী বর্ষা মৌসুম। আবহাওয়াবিদেরা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, এবারের বর্ষায় বৃষ্টি বেশি হবে।
বাংলাদেশের উজানে ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো, অর্থাৎ আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টি বেশি হতে পারে বলে ভারতে হওয়া সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন আবহাওয়াবিদেরা। ওই বৃষ্টি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়বে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলে প্রতিবছর যে বন্যা হয়, তা এবার আরও ব্যাপক রূপ নিতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে গতকাল মে মাসের প্রথম সপ্তাহের জন্য বন্যার একটি পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উজানে তো বটেই, সিলেট বিভাগজুড়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হবে। এতে সুরমা নদীর পাঁচটি পয়েন্টে বন্যা শুরু হতে পারে। তবে তা বেশি দিন স্থায়ী হবে না।
বাংলাদেশের মানুষ ৭৬ বছরের মধ্যে এবার এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি দিন টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে কাটিয়েছেন। অবশ্য আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ২ মে, অর্থাৎ আগামীকাল শুক্রবার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সেটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে। রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকা মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন। তারপর বর্ষাজুড়ে বেশি বৃষ্টি জলাবদ্ধতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।