সিভিল সার্জনের কার্যালয়, সদর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলিয়ে জেলায় চিকিৎসকের পদ আছে ১৩৫টি। এর মধ্যে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৫০ জন। বাকি ৮৫টি পদই (৬৩ শতাংশ) শূন্য। চিকিৎসকেরা বলছেন, সংকটের মধ্যেই নিয়মিত অস্ত্রোপচার হচ্ছে। সিভিল সার্জন নিজে গিয়ে অস্ত্রোপচার করেন। তাঁর সঙ্গে থাকেন সদর হাসপাতালের অবেদনবিদ (কনসালট্যান্ট অ্যানেসথেসিয়া) মনসুর আলম ও সিরাজউদ্দৌলা পলিন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি অ্যান্ড অব্স) আফিফা জিন্নাতসহ অন্য চিকিৎসকেরা।
এ জন্য প্রতিদিন খুব সকালে ছুটতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। অস্ত্রোপচার শেষ করে আবার দাপ্তরিক কাজ করতে হয়। গাইনি চিকিৎসক আফিফা জিন্নাত বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই দিন এবং তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার দিন যান। চিকিৎসকসংকট থাকলে অন্য উপজেলাগুলোতেও যেতে হয়। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকসংকটে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেক কিছুই করতে পারছি না। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সিভিল সার্জন স্যারের আন্তরিকতায়, প্রচেষ্টায় এবং তাঁর উদ্যমের কারণে আমরাও আন্তরিকভাবে কাজটা করার চেষ্টা করছি।’ প্রান্তিক মানুষের সেবার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত আফিফা আরও বলেন, অস্ত্রোপচারের সময় একটি যন্ত্রের সংকট থাকলে সদর হাসপাতাল থেকে সিভিল সার্জনের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। অবেদনবিদ না থাকলে নিজের গাড়িতে করে অবেদনবিদ নিয়ে যান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলায় গিয়ে অস্ত্রোপচার করেছেন। পরে আবার এসে দাপ্তরিক কাজে অংশ নিয়েছেন। জটিল কিছু অস্ত্রোপচার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করানো সম্ভব না হলে তাঁদের সদর হাসপাতালের ওটিতে নিয়ে অস্ত্রোপচার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এসব কাজে মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, বিশেষ করে প্রান্তিক এলাকার গরিব মানুষ বাড়ির পাশে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।’