গাবতলী উপজেলার সোনারায় উচ্চবিদ্যালয় (পুরুষ) কেন্দ্রে এক প্রার্থীর সমর্থকেরা বাইরে থেকে ব্যালটে সিল মেরে ভোটকক্ষে ঢুকে বাক্সে ভরার অভিযোগে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, আজ সকাল ১০টার দিকে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী রফি নেওয়াজ খানের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক সোনারায় উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার ৪ ও ৫ নম্বর বুথে ঢুকে পোলিং এজেন্টের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নেন। এরপর আনারস প্রতীকে সিল মেরে সেগুলো ব্যালট বাক্সে ফেলেন তাঁরা। খবর পেয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা কেন্দ্রে এসে ব্যালট পেপারের মুড়ি বইয়ে ভোটারের স্বাক্ষর না পাওয়ায় ছয়টি মুড়ি বই জব্দ করেন। এ সময় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এ টি এম আমিনুর রহমানকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জাল ভোটের দায় স্বীকার করে বলেন, ‘১০ থেকে ১৫ জন যুবক বুথে এসে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে গোপন কক্ষে গিয়ে সিল মেরেছে। তাদের আমি চিনি না। নিরুপায় হয়ে মেনে নিয়েছি।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান বলেন, বাইরে থেকে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরার অভিযোগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দুজনকে আটক এবং দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দুই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে বলে জানান তিনি।