27.1 C
New York

ফেরি রজনীগন্ধা যখন ডুবছিল, সবাই ছিলেন ঘুমে

Published:

মারাত্মক দায়িত্বহীনতা ও গাফিলতির কারণে যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া প্রান্তিকের এজিএম (মেরিন) মো. আহাম্মদ আলী। বিআইডব্লিউটিসির মুখ্য কর্মচারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলে রাব্বির সই করা কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ফেরিটির কোনাগুলির বাউন্ডারি রেলিং ও ডেকের নিচে হালের অংশ অন্য ফেরির সঙ্গে সংঘর্ষে বা পন্টুনে ভেড়ানোর সময় ধাক্কা লেগে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই রুটে ফেরিটি পরিচালনার ক্ষেত্রে মাস্টাররা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। ফেরিটি পরিচালনা, পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মারাত্মক দায়িত্বহীনতা ও গাফিলতি করেছেন। পাটুরিয়া অঞ্চলের নৌ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আপনি এর দায় এড়াতে পারেন না।’
পাটুরিয়া অঞ্চলের নৌ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও ফজলে রাব্বির সই করা চিঠিতেই দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতির কারণে অস্থায়ী গ্রিজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মো. মামুন সিকদারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মেহের আলী, লস্কর মানিক রায়, হুইল সুকানী মো. সবুজ মিয়া ও লস্কর মো. মুরাদকে। পাটুরিয়া প্রান্তিকের এজিএম (মেরিন) মো. আহাম্মদ আলী, হুইল সুকানী মো. আরিফুর রহমান, লস্কর মো. শাহ জাহান ও লস্কর মো. মনির আহাম্মদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকজন কর্মকর্তা–কর্মচারীকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি ও জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে। তা ছাড়া ঘটনার পরপরই সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ফেরির সেকেন্ড মাস্টার মো. আঞ্জুমানকে।

Related articles

Recent articles

spot_img