রাজধানীতে বিক্ষোভকালে নিহত ৬৪ জনের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে। প্রথম আলো পুলিশ বাদী হয়ে করা ৩৪টি মামলার তথ্য সংগ্রহ করেছে। পুলিশের মামলার বাইরে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে, যার নথিতে বাদী হিসেবে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের নাম রয়েছে। প্রথম আলো ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে, তাঁরা মামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না। লাশ আনার সময় তাঁদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেওয়া হয়েছে। পুলিশ স্বজনদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নিয়ে যদি পরে সেটিকে মামলা হিসেবে উপস্থাপন করে, সেটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও সংঘাতে গত ১৬ জুলাই থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ২১২ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও সরকার ১৫০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, বাসার ভেতরে ও ছাদে থাকা মানুষও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মারা গেছেন সাংবাদিক, পথচারী ও ফুটপাতের হকারও। কদমতলীতে তিন বছরের শিশু আবদুল আহাদ নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৮ জুলাই থানায় মামলা করে পুলিশ। যাত্রাবাড়ীতে ১৮ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক মেহেদী হাসান। দুটি ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের আসামি করেছে। রংপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হয়েছেন খুব কাছ থেকে পুলিশ সদস্যের ছোড়া গুলিতে, যা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও উঠে এসেছে। কিন্তু পুলিশ সেই ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে আসামি করে জেলে পাঠায়।