14.6 C
New York

পোলট্রি খামারে সচ্ছল এক গ্রামের শত পরিবার

Published:

স্থানীয় লোকজন, খামারের মালিক ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, মিরসরাই উপজেলার পশ্চিমে সমুদ্র উপকূলঘেঁষা চরশরৎ গ্রাম ছিল খুবই অনগ্রসর এলাকা। চরাঞ্চলে জমি বর্গা চাষ করাই ছিল প্রায় ৩০০ পরিবারের গ্রামটির অধিকাংশ মানুষের পেশা। বর্গা জমি চাষ করে পেটেভাতে চলা গেলেও সংসারে সচ্ছলতা ছিল না মানুষের।

এমন দীনহীন জীবনের বৃত্ত ভেঙে বের হতে ২০০৪ সালে প্রথম ১ হাজার ৬০০ ব্রয়লার মুরগির একটি খামার গড়েন গ্রামের বাসিন্দা সীতানাথ দাশ। খামার করে তিনি সফল হলে তাঁর দেখাদেখি গত ২০ বছরে চরশরৎ গ্রামে গড়ে উঠেছে ছোট–বড় ১২০টি মুরগির খামার। এখন এসব খামারে পালন করা হয় আড়াই লাখের বেশি ব্রয়লার মুরগি। প্রতি মাসে এ গ্রামে এখন উৎপাদিত হয় ২৫০ টন মুরগির মাংস। এসব মাংসের বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। চরশরৎ গ্রামের মুরগির খামারিদের সবাই দেশের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মুরগি পালন করেন।

পাঁচ বছর আগে ২ হাজার ৩০০ মুরগি দিয়ে শুরু করে এখন ১০ হাজার মুরগির খামারের মালিক চরশরৎ গ্রামের কৃষ্ণ কুমার দাশ। নিজে আগে তেমন কিছু না করলেও এখন ছয়জন কর্মচারী চালান তিনি। জানতে চাইলে এ খামারি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুরগির খামার আমাদের গ্রামের মানুষের জন্য আশীর্বাদ। আগে যারা দিনমজুরি করত, তাদের অনেকেই এখন খামার করে সচ্ছলতার মুখ দেখেছে। খামারের আয়ে বাড়িঘর করছে, জমিজিরাত কিনছে। মালিক–শ্রমিকসহ গ্রামের অন্তত ৪০০ মানুষ সরাসরি এসব মুরগির খামারের সঙ্গে জড়িত। লাভজনক হওয়ায় গ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে খামারের সংখ্যা।’

Related articles

Recent articles

spot_img