11.8 C
New York

পুলিশের মারধরে মৃত্যুর অভিযোগ, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস

Published:

গতকাল বুধবার রাতে রমিজ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২) মুঠোফোনে বলেন, ‘সবকিছু আমার চোখের সামনে ঘটেছে। পুলিশের বেধড়ক মারধরেই বাবা মারা গেছেন। আমরা এর বিচার চাই।’  

সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রামের রাস্তার পাশেই তাঁদের ঘর। বসতঘরের সামনের অংশে চায়ের দোকান। তাঁর বাবা দোকান চালাতেন। তাঁরা দুই ভাই শ্রমিকের কাজ করেন। কাজ না থাকলে বাবার সঙ্গে দোকানে বসেন। ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকেলেও দোকানে বাবার সঙ্গে ছিলেন তিনি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, বিকেলে দুজন লোক একটি মোটরসাইকেলে এসে তাঁদের দোকানের সামনে নামেন। একজন দোকানে ঢুকে সিগারেট চান। সাইফুল ড্রয়ার থেকে সিগারেট বের করার সময় ওই ব্যক্তি তাঁর বাবার নাম জিজ্ঞেস করেন। রমিজ মিয়া নাম বলতেই তাঁকে বুকে ঘুষির মতো ঝাপটা দিয়ে ধরেন। এ সময় সাইফুল ওই ব্যক্তিকে ধরার চেষ্টা করলেই তাঁরা পুলিশ বলে পরিচয় দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে জানান। পরোয়ানার কাগজ দেখতে চাইলে তাঁরা জানান, ফাঁড়িতে আছে। তখন বাবা ঘরের ভেতর থেকে মামলার কাগজপত্র এনে দেখানোর কথা বলেন। কিন্তু তাঁকে যেতে না দিয়ে আরও জোরে আটকে ধরা হয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি করে বাবা নিজেকে ছাড়িয়ে ঘরের পেছন দিকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশের একজন দোকানে থাকা একটি নারকেলগাছের ঢাল দিয়ে তাঁকে আঘাত করেন। তিনি ঘরের পেছনের দিকে হাত বিশেক দূরে আরেক বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। পুলিশ সদস্যরাও সেখানে যান এবং বাবাকে কিল-ঘুষি মারেন।

Related articles

Recent articles

spot_img