প্রথম আলো :
অনেকের সঙ্গে অভিনয় করেছেন, কারও উপদেশ মেনে চলেন?
রাজীব সাহেব বলেছিলেন, ‘ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করো তো আব্বু, এই কথা মেনে চলো। আমরা এমনিতেই খারাপ চরিত্রে অভিনয় করি। মানুষ ধরে নেয়, আমরা ব্যক্তিজীবনেও খারাপ। শুটিংয়ের বাইরে সমাজের সাধারণ মানুষ যেন তোমাকে খারাপ মনে না করে। এ জন্য তোমাকে সব সময় সাদাসিধে পোশাক পরতে হবে, সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।’ রাজীব সাহেবের কথায় কানে দুল পরাসহ অতিরিক্ত ফ্যাশন ছেড়ে দিই। এ টি এম শামসুজ্জামান সাহেব বলেছিলেন, ‘তুই লুঙ্গি পরলে গ্রামের, কোট–টাই পরলে শহুরে। এমন লুকে তোর মতো এই প্রজন্মে আর কোনো ভিলেন নেই। তুই সফল হবি।’ জসিম ভাই বলতেন, ‘এমন ভিলেন হবি যেন তোর অভিনয়ে দর্শকের চোখের পাতা না পড়ে।’ এ ছাড়া অনেকেই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। সবার উপদেশ মেনে চলেছি।
প্রথম আলো :
ভিলেন চরিত্রে প্রাপ্তি কতটা, কখনো কি এই ভরসা সরে যাবে বলে মনে হয়?
৮০০–৯০০ সিনেমায় খলচরিত্রে অভিনয় করেছি। পৃথিবীতে আমার মতো কেউ প্রধান ভিলেন চরিত্রে এত বেশি অভিনয় করেননি। পৃথিবীতে মান্না–শাকিব বাদে আমার মতো কেউ নামভূমিকায় এত ছবিতে অভিনয় করেননি। তার মানে আমাকে নিয়ে চরিত্র হয়েছে, হচ্ছে। ‘নুরা পাগলা’, ‘জ্যান্ত কবর’, ‘টপটেরর’সহ এমন অনেক সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছি। ‘কুস্তি’সহ একাধিক সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করছি। তিন যুগ আমার ওপর ভরসা পাচ্ছেন, ভবিষ্যতেও পাবেন। এ জন্য নির্মাতা ও প্রযোজকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।