ম্যাচের আগে দুই দল এলোমেলোভাবে একটি কার্ড নির্বাচন করে। প্রতিটি দলের কাছে থাকে একটি গোপন অস্ত্র, যা তারা দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ম্যাচের ৩৮ মিনিটের মধ্যে ব্যবহার করতে পারে। কার্ড চালু রাখা অবস্থায় একটি দল যেসব সুবিধা পেতে পারে, সেগুলো হলো—
ডাবল গোল: কার্ড ব্যবহার করা অবস্থায় ৪ মিনিটের মধ্যে কোনো দল যদি একটি গোল করতে পারে, তাহলে তা ২ গোল ধরা হয়।
নিষেধাজ্ঞা: একটি দল প্রতিপক্ষ দলের যেকোনো এক খেলোয়াড়কে ৪ মিনিটের জন্য মাঠে বাইরে পাঠাতে পারে।
পেনাল্টি: কার্ড ব্যবহার করে কোনো দল একটি পেনাল্টি নিতে পারে। এই পেনাল্টি টাইব্রেকারের মতো। অর্থাৎ গোলকিপার আর পেনাল্টি শট নিতে যাওয়া খেলোয়াড় ছাড়া আর কারও সম্পৃক্ততা থাকে না।
তারকা খেলোয়াড়: একজন খেলোয়াড়কে একটি বাহুবন্ধনী দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, তিনি তাঁর দলের তারকা খেলোয়াড়। যদি তিনি একটি গোল করেন, তাহলে দুটি গোল বিবেচনা করা হয়। তিনি গোল পাওয়ামাত্রই গোপন অস্ত্র ব্যবহারের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়।
ওয়াইল্ড কার্ড: একটি দল অন্য কার্ডগুলোও সক্রিয় করতে পারে, এমনকি প্রতিপক্ষের কার্ড চুরিও করতে পারে।
পিকের মতে, কিংস লিগ শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেই চলবে না, প্রদর্শনীও হতে হবে। এ কারণেই অদ্ভূত সব নিয়ম চালু করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের নিয়মগুলো কীভাবে করা হয়, সেটাও জানিয়েছেন পিকে, ‘কখনো কখনো টুইটারে (এক্সে) মানুষ ভোট দেয়। যেমন ধরেন, বর্তমানে মাঠের কৃত্রিম ঘাসের রং কালো, দলের সভাপতিরাও ম্যাচে পেনাল্টি নিতে পারেন—এই নিয়মগুলো ভোটের মাধ্যমে পাস হয়েছে। আসলে আমরা নিয়মের পরিবর্তনই চেয়েছিলাম। কারণ, আমরা এমন মজাদার, প্রতিযোগিতামূলক কিছু চেয়েছিলাম, যার মাধ্যমে এটিকে প্রদর্শনী ম্যাচ মনে হবে। ফুটবল হলো সব খেলার রাজা। তবে আমরা এখানে ভিন্নধর্মী উপাদান যোগ করতে চেয়েছিলাম।’
নিয়মে এত বদল আনার পর সেটা কি আর ফুটবল থাকল? পিকের উত্তর, ‘আপনি যদি মনে করেন, এটা ফুটবল, তাহলে তা–ই। আর যদি মনে করেন, এটা ফুটবল নয়, তাহলে সেটাও ঠিক। এটা ফুটবল, কিন্তু এটা ফুটবল নয়।’