15.2 C
New York

পাত্তা পেল না প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা

Published:

কিশোরগঞ্জ-৪ থেকে জয় পান সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ। আসনটি জেলার হাওর অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলা নিয়ে। এখানেও প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। নৌকার রেজওয়ান আহম্মদ ২ লাখ ৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে ফের জয়ী হন। এই আসনে ভোট পড়ে ২ লাখ ১৯ হাজার ২৫০। জামানত রক্ষা করতে প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ২৭ হাজার ৪০৬ ভোট।

এ আসনে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব পান ২ হাজার ৭৩৫, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. নছিম খাঁন ২ হাজার ২৮১, এনপিপির মো. জয়নাল আবদিন ১ হাজার ২৫৩, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আব্দুল মজিদ ৯৯৯ এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. শরীফুল আহসান পান ৮২২ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের দুই সন্তান নির্বাচন করেন। আসনটি সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে। নৌকা প্রতীক পান বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর। ঈগল প্রতীকে বোনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান নজরুল ইসলামের আরেক সন্তান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ছোট বোনের কাছে বড় ভাই হেরে যান ৩ হাজার ১৮৬ ভোটে।

এই আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন আটজন। সৈয়দ সাফায়েতুল ছাড়া অপর ছয় প্রার্থী জাতীয় পার্টির মো. আবদুল হাই, গণতন্ত্রী পার্টির ভূপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক দোলন, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোবারক হোসেন, এনপিপির মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল আউয়াল জামানত হারান।

ফলাফলে জামানত হারানোকে আলাদা করে মূল্যায়ন করার কিছু দেখছেন না ইসলামী ঐক্যজোটের আশরাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘পরাজয় তো পরাজয়ই। যে অনেক ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন, তিনিও পরাজিত, আমিও পরাজিত। এর মধ্যে বিশেষ পার্থক্য দেখছি না।’

Related articles

Recent articles

spot_img