12.9 C
New York

পাকুন্দিয়ায় ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে পুনরায় নির্বাচনের দাবি

Published:

রফিকুল এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম, ব্যালট ছিনতাই ও জাল ভোটের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ফল বাতিল করে আবার নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আজকে সব ভোটকেন্দ্রের কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচনী ফলাফলের শিট চাইব। আমি জানি, এ নিয়ে তাঁরা গড়িমসি করে কালক্ষেপণ করবেন।’ যদি ফলাফলের শিট দুই দিনের মধ্যে না দেওয়া হয়, তাহলে কর্মী–সমর্থক নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার আলটিমেটাম দেন তিনি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ, স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল হক, লাল মিয়া, দুলাল মিয়াসহ তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, তাড়াহুড়া করে প্রথমে একটি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। যে কারণে ওই ফলাফল শিটে ভোটারদের মোট যোগফলে কিছুটা ত্রুটি হয়েছিল। তাই পরবর্তী সময়ে আবারও যোগফল মেলানো হয়েছে এবং আবার ফলাফল শিট স্বাক্ষর করে সব জায়গায় পাঠানো হয়েছে। তাঁর হিসাব অনুযায়ী, পরের শিটে জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পরাজিত প্রার্থী অভিযোগকারী রফিকুলের ভোট আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ঠিক থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৭০ হাজার ৩৯০ ভোট, যেটা আগের শিটে ছিল ৭০ হাজার ৩৩৪ ভোট। আর পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ছিল আগের শিটে ৭৫ হাজার ৪১৬, যেটার পার্থক্য নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছিল। কিন্তু এটা পরবর্তী সময়ে আবার যোগ করে মেলানো হয়েছে ৭০ হাজার ৬৩ ভোট।

Related articles

Recent articles

spot_img