মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম ঘুরে দেখা যায়, অন্তত ২০টি চালের ট্রাক লোড অবস্থায় গুদামঘরের সামনে সারিবদ্ধ অবস্থায় দাঁড়ানো। অলস সময় কাটাচ্ছেন গুদামের শ্রমিকেরা। গুদামরক্ষক ভবতোষ বিশ্বাস জানান, এ জেলা থেকে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কাপ্তাই, বান্দরবানসহ বিভিন্ন জেলায় চাল পাঠানো হয়। চলমান পরিস্থিতিতে পরিবহন ঠিকাদারেরা গাড়ি বের করছেন না। কয়েকজন পরিবহনমালিককে বোঝানোর পর গতকাল ১৭ ট্রাক চাল পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
দিনাজপুর শহরের পুলহাট এলাকায় বাঁধন অয়ন অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে আমরা চাল উৎপাদন বন্ধ রাখি নাই, কিন্তু সরবরাহ তো করতে পারছি না। গুদামঘরেও জায়গা নাই। সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে না পারায় বিলও পাচ্ছি না। ব্যাংক বন্ধ থাকায় লেনদেনও করা যাচ্ছে না। চাল পাঠানোয় কোনো ট্রাকমালিক রাজি হলেও ভাড়া চাচ্ছেন বেশি।’
তবে চাল সরবরাহ বিষয়ে জটিলতা থাকলেও দিনাজপুরে গত সাত দিনে চালের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। দিনাজপুর বাহাদুর বাজারে (চালের বাজার) ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০ থেকে ৩ হাজার ২৫০ টাকা, স্বর্ণ প্রতি বস্তা ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬৫০ টাকা, ২৯ জাতের চাল ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৭৫০ টাকা, নাজিরশাইল ও বাসমতী চাল প্রতি বস্তা (২৫ কেজি) ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ অটো মেজর রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সহিদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, পরিবহন-সংকটে মিলমালিকেরা চাল সরবরাহ করতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। তবে এই সাত দিনে কোনো জায়গায় চালের সংকটের কথা শোনা যায়নি। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যে সমস্যা কেটে যাবে।