চট্টগ্রাম নগরেও সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। বিকেলে নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের মধ্যে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তাঁদের একজনের বয়স ১৮, আরেকজনের ২২ বছর। আন্দোলনকারীদের দাবি, নিহত দুজনই আন্দোলনে ছিলেন।
বিকেলে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানিয়েছেন।
ঢাকার সাভারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিক্ষার্থী মারা যান। তাঁর নাম শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন। তিনি মিরপুরের এমআইএসটির কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনচার্জ মো. ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর বুকের মধ্যে অনেকগুলো গুলি (ছররা গুলি) লেগেছে। আনুমানিক তিনটার দিকে তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’
নিহত ইয়ামিনের বাবা মো. মহিউদ্দিন বলেন, তাঁরা সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় থাকেন। তাঁর ছেলে ব্যাংক টাউন এলাকায় নামাজ পড়ে বাসস্ট্যান্ডে আন্দোলন দেখতে গিয়েছিল। কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছিল। সংঘর্ষে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট তাঁর ছেলের গায়ে লাগে।
নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই দুজন হলেন নাম তাহমিদ তামিম (১৫) ও মো. ইমন মিয়া (২২)। নিহত তাহমিদ তামিম নরসিংদী শহরের নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমসের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কারারচর এলাকার মো. ইমন মিয়া শিবপুরের সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের শিক্ষার্থী।