12.9 C
New York

নির্বাচন নিয়ে ‘মনগড়া’ কথা আর কত

Published:

শুধু বিরোধী দল নয়, ক্ষমতাসীন দলের কোনো কোনো নেতার কাছ থেকেও একই রকম কথা শোনা গেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে সব চেষ্টা যে বৈধ ছিল, তা নয়। অনেক অপকর্মও করেছি। এখন যেকোনো নির্বাচনে ১০-১৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে না।’ (‘৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহেলকে জেতাতে আমরা অনেক অপকর্ম করেছি’, প্রথম আলো অনলাইন, ৩০ এপ্রিল ২০২৪)

৭ জানুয়ারির যে নির্বাচন নিয়ে এত সব প্রশ্ন ও অভিযোগ উঠেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা সেই নির্বাচনেরই প্রশংসা করেছেন! তাঁদের এই ‘প্রশংসা’ কতটা যুক্তিসংগত ছিল? তাঁরা কি ওই নির্বাচন নিয়ে অন্যদের অভিজ্ঞতা একটুও আমলে নেননি?

শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনার নন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে একই রকম কথা বলেছিলেন আরেক নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে তিনি রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় শেষে রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিগত যে জাতীয় নির্বাচনটি করেছি, সে নির্বাচন নিয়ে প্রত্যেকে একবাক্যে বলেছেন, নির্বাচন অভূতপূর্ব সুষ্ঠু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও অবাধ করতে চাই।’ (সবাই একবাক্যে বলেছেন, বিগত নির্বাচন অভূতপূর্ব সুষ্ঠু হয়েছে: ইসি রাশেদা সুলতানা, প্রথম আলো অনলাইন, ২৮ এপ্রিল ২০২৪)

Related articles

Recent articles

spot_img