গতকাল তিনজনসহ এ পর্যন্ত ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন দিনাজপুর-২ আসনের মাহবুবুল আলম, নওগাঁ-২ আসনের মো. তোফাজ্জল হোসেন, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের জাকির হোসেন, বরগুনা-১ আসনের মো. খলিলুর রহমান, বরিশাল-২ ও ৫ আসনের ইকবাল হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর-১ ও ৫ আসনের এম এম নিয়াজ উদ্দিন, গাজীপুর-২ আসনের জয়নাল আবেদীন, গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) সামসুদ্দিন খান, হবিগঞ্জ-২ আসনের শংকর পাল, কুমিল্লা-২ আসনের এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ-১ আসনের আবদুল মান্নান তালুকদার। এর মধ্যে বরিশাল ও গাজীপুরে দুজন প্রার্থী চারটি আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন।
গাজীপুর-৪ আসনের জাপার প্রার্থী সামসুদ্দিন খান ‘চাপ ও হুমকির’ কথা জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার কাপাসিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ঘোলাটে। বিভিন্ন চাপ ও হুমকি আছে আমার ওপর।’
গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী সোহরাব হোসেন জাপার শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ২৮৩ জন। এর মধ্যে ২৬ জনের জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে বাকি ২৫৭ জনকে অসম্মান করা হয়েছে।
সোহরাব হোসেন বলেন, ‘১৮ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আচরণে আমরা হতাশ। চেয়ারম্যান (জি এম কাদের) ও মহাসচিব (মুজিবুল হক) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যেহেতু তাঁরা মাত্র ২৬ জন প্রার্থীকে নিয়ে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা পেয়েছেন, বাকি ২৫৭ জনকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আর্থিকভাবে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’