কিছু সমালোচক সতর্ক করে বলেন, তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে আগের চেয়ে বেশি উগ্রপন্থী অ্যাজেন্ডা সামনে এনে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ব্যবহার করতে পারে বিজেপি। নিজ নির্বাচনী ইশতেহারে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর জোর দিলেও দলটি বিয়ে এবং উত্তরাধিকারের মতো বিষয়গুলোতে ধর্মীয় ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য পৃথক আইনি বিধান বাতিলের অঙ্গীকার করেছে।
অনেক মুসলিম ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বিজেপির এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। পরিকল্পনাটি কার্যকর করতে সংসদে কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতার সমর্থন লাগবে।
কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘মোদি ভূমিধস জয় শুধু এ জন্যই চান, যেন সংসদে কোনো নীতিগত বিষয়ে বিতর্ক ও মতামত নাকচ করে দেওয়া যায়।’
আজ মঙ্গলবার শেষ হলো লোকসভার তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ। এ কয় দফায় ভোটারদের কম উপস্থিতিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে বিজেপির নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দৃশ্যত কম আত্মবিশ্বাসী দেখা গেছে। তবে দলটি এখনো পরবর্তী সরকার গঠন করার বিষয়ে আশাবাদী।
বিজেপি সভাপতি নাড্ডা স্বীকার করেছেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংসদে জিততে তাঁদের দক্ষিণের পাঁচটি রাজ্যে ভালো ফলাফল করতে হবে। রাজ্যগুলোতে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশের বসবাস। কিন্তু এসব রাজ্যের মানুষ ঐতিহাসিকভাবেই বিজেপিকে ভোট দেন না।
২০১৯ সালের নির্বাচনে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানায় ১৩০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩১টিতে জয় পেয়েছিল এনডিএ। রাজ্যগুলো ভাষাগত বৈচিত্র্যে ভরা। আবার মুসলিম ও খ্রিষ্টান ভোটারদের যথেষ্ট প্রাধান্য রয়েছে এসব রাজ্যে।