পঞ্চগড় জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় যেসব সুপারিশ হচ্ছে সেগুলো ইসিতে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, তা দেখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরা নির্বাচনী এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছেন।
মাদারীপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অন্তত ২১টি অভিযোগ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগের প্রেক্ষাপটে কালকিনি ও ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকাশ্যে ভোটারদের হুমকি, ভীতি সৃষ্টি করা, প্রচারে বাধা সৃষ্টিসহ নির্বাচনী নানা বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও অভিযুক্ত প্রার্থী ও কর্মীদের সাধারণ ক্ষমা ছাড়া শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে ইসি জোরালো বক্তব্য দিচ্ছে। তারা নিজেরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একটি নির্বাচন পরিচালনা করছে। সেখানে যাঁরা অন্যায় করছেন, অনিয়ম করছেন, তাঁদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে প্রমাণিত হচ্ছে, তাঁদের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই। নির্বাচনী অনিয়মে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অনিয়ম বাড়তেই থাকবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা।]