15.8 C
New York

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী কোথাও নিজেরা, কোথাও ঘনিষ্ঠরা

Published:

ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো এবং অধিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাতে আওয়ামী লীগের কিছু কিছু কৌশলের কারণে ভোটের মাঠে জটিলতাও তৈরি করেছে। ‘স্বতন্ত্র কৌশল’–এর কারণে প্রায় প্রতিদিনই সংঘাত-মারামারি হচ্ছে। এরই মধ্যে শতাধিক স্থানে সহিংসতা হয়েছে। মারা গেছেন অন্তত তিনজন।

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে স্বস্তিতে নেই দলটির জোটের শরিক ও মিত্ররা। কারণ, আওয়ামী লীগ থেকে ছাড় পেলেও অনেক আসনে দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। এমতাবস্থায় ১৪ দলের শরিক একটি দলের শীর্ষ নেতা বারবার মুঠোফোনে খুদে বার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের সহায়তা চাইছেন বলে আওয়ামী লীগ ও জোট সূত্র থেকে জানা গেছে।

শরিক আরেকটি দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিএনপির সহায়তা চেয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বলেও আলোচনা আছে।

জাপা সূত্র জানিয়েছে, তাদের নেতাদেরও অনেকের ঝুঁকি রয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীই তাঁদের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছেন।

বিএনপির দলছুট স্বতন্ত্র প্রার্থী, কিংস পার্টির নেতা ও জাপার রওশনপন্থী প্রার্থীদের বেলায় চিত্রটা ভিন্ন। এসব আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা উল্টো চাপে রয়েছেন।

এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনেকে নেমেছেন। এই আসনে সাবেক আইজিপি ও বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।

একই আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন। নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র; দুজনই অভিযোগ করেছেন, একটি বিশেষ মহল আখতারুজ্জামানের পক্ষে কাজ করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চাপ দিচ্ছে।

Related articles

Recent articles

spot_img