গত জুনে বরিশাল সিটির নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি সাদিক আবদুল্লাহ। মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাঁর ছোট চাচা নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ফলে সাদিক ও তাঁর সমর্থকেরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে আবুল খায়ের আবদুল্লাহর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় হননি। এ নিয়ে চাচা-ভাতিজার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর একপক্ষে অবস্থান নেন মেয়র আবুল খায়ের এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আর অপর পক্ষে সাদিক আবদুল্লাহ ও নগর আওয়ামী লীগ। এই দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব ও বিভেদ প্রকাশ্যে আসে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
সাদিক আবদুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করে প্রকাশ্যে তাঁর পক্ষে অবস্থান নেয় নগর আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে একপক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মঞ্চে বিরূপ মন্তব্য এবং মিছিল-সমাবেশ পর্যন্ত করেছে। কিন্তু বিভেদের সুরাহা হয়নি।
এবার স্বতন্ত্র প্রার্থিতা চূড়ান্তভাবে বাতিল হওয়ার পর সাদিক আবদুল্লাহ ও নগর আওয়ামী লীগের অবস্থান কী হবে তা জানতে সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীরের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
জাহিদ ফারুকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, বরিশাল-৫ আসনে জাহিদ ফারুক আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যাঁরা আস্থাশীল, দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করা ও তাঁকে বিজয়ী করতে কাজ করাটা তাঁদের সাংগঠনিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেই পড়ে। এটা না করলে তিনি দলের কেউ বলে পরিচয় দেওয়ার নৈতিক অধিকার রাখেন না।