15.8 C
New York

নিজের জামানতও রক্ষা করতে পারেননি আলোচিত প্রার্থী আখতারুজ্জামান

Published:

জয়ের ব্যাপারে আখতারুজ্জামানের আত্মবিশ্বাস ছিল আকাশচুম্বী। প্রায় সভায় বলতেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর জয় চান। ঘুমিয়ে থাকলেও তাঁর জয়ে কেউ বাধা হতে পারবেন না। তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা বিশ্বাস করতেন তিনি সরকারের ‘গুডবুকের লোক’। ভোটের মাঠে প্রচার ছিল, বিশেষ কারণেই সরকার তাঁকে এই আসন থেকে বিজয়ী করে সংসদে নেবে। প্রার্থী এবং কর্মীদের এমন ভিত্তিহীন আত্মবিশ্বাস ভোটে এমন ভরাডুবি ত্বরান্বিত করে বলে ধারণা অনেকের।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসদ সদস্য পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। নৌকা না পাওয়ায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যান। পরবর্তী সময়ে তিনি নৌকার হয়ে কাজ না করে সমর্থন দেন আখতারুজ্জামানকে। এই সমর্থনে ট্রাক প্রতীকের প্রচারণায় গতি আসে সত্য, কিন্তু ভোটে প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারণ হিসেবে আলোচনায় সামনে আসছে সংসদ সদস্যকে ঘিরে কটিয়াদী পাকুন্দিয়ায় একটি বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। বাহিনীর সদস্যদের যন্ত্রণায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। নূর মোহাম্মদ সমর্থন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীর লোকজন ট্রাকের হয়ে কাজ শুরু করেন। এটি সাধারণ ভোটারকে ভাবায়। ফলে সংসদ সদস্যের সমর্থন আদতে আখতারুজ্জামানের জন্য বড় সুবিধার হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, নির্বাচনে আখতারুজ্জামান নানা ঘটনা রটনার জন্ম দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে খুশি রাখতে চেষ্টা করেছেন। মানুষ এত নাটক পছন্দ করে না। বিশ্বাস হারানোর কারণেই তিনি কোনো পক্ষের ভোট পাননি।

মুঠোফোন না ধরায় আখতারুজ্জামানের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তাঁর সক্রিয় কর্মী কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ. কুদ্দুস বলেন, ‘আমরা যা শুনে এসেছিলাম, শেষে বাস্তবে কিছুই হয়নি। শুরুতে অনেক জনপ্রতিনিধি আমাদের পক্ষে ছিল। শেষে ঈগলের ওপর ভর করে। এবার বিএনপিকেও পাওয়া যায়নি।’

Related articles

Recent articles

spot_img