তরুণী জানান, ওই ঘটনার পর তিনি প্রচণ্ড রকমের বিষণ্ন থাকতেন। ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সাত-আট মাস পর এক নারীর মাধ্যমে তিনি ঢাকায় বারে গান গাওয়া শুরু করেন। মোট তিনটি বারে গান গেয়েছেন। তাঁদের অনটনের সুযোগ নিয়ে ২০২২ সালে ফারুক আবার যোগাযোগ করেন। মেয়েটির অভিযোগ, বিয়ের কথা বলে তাঁর সঙ্গে মেলামেশা করেন ফারুক। তবে বিয়ে নিয়ে টালবাহানা করছিলেন। প্রথম স্ত্রী আছে তাই নিবন্ধন ছাড়া কলেমা পড়ে বিয়ে করতে চান। তিনি বলতেন, সরকারি চাকরি করেন, জানাজানি হলে তাঁর সমস্যা হবে।
মেয়েটি জানান, তিনি আবার গর্ভধারণ করলে ঢাকার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে যান গর্ভপাতের জন্য। কিন্তু চিকিৎসক তাঁর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রাজি হননি। চিকিৎসক নৈতিক কিছু কথাও বলেন, যা শুনে তিনি সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি তিনি অস্ত্রোপচারের (সি সেকশন) মাধ্যমে ছেলেসন্তানের জন্ম দেন।
মেয়েটি বলেন, এরপর কিছুদিন ফারুক খোঁজখবর রাখলেও পরে তা অনিয়মিত হয়ে যায়। এ নিয়ে কলহে ফারুক তাঁর বোনের বাসায় এসে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং তাঁর সন্তানকেও আঘাত করার চেষ্টা করেন। বিয়ের কোনো কাবিননামা না থাকলেও ফারুক তাঁকে তালাকের নোটিশ পাঠান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আকতার ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। ২০২১ সালে বাসায় হুজুর ডেকে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর এই স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বোনের বাসায় থাকেন। তিনি খরচ পাঠিয়ে দেন।
তালাকের নোটিশ পাঠানোর কথা উল্লেখ করে আকতার ফারুক বলেন, ‘স্বভাব ভালো না হওয়ায়’ এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বারবার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় এ বছর তিনি তাঁকে তালাক পাঠিয়েছেন। বিয়ে নিবন্ধন না হলে তালাক কীভাবে হয়, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শরিয়াহ আইনে হয়।
তবে বাসায় হুজুর ডেকে বিয়ে পড়ানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে ওই তরুণী জানিয়েছেন।