22.7 C
New York

দুর্যোগে অসহায় উপকূলের মায়েরা | প্রথম আলো

Published:

দাকোপে সাতটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র আছে। বাণীশান্তা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সুদৃশ্য ফটক ও সীমানাপ্রাচীরে ঘেরা এলাকা। ভেতরে জরাজীর্ণ একটি স্থাপনা। ফটকে তালা লাগানো। ওই কেন্দ্রে একসময় সেবা পেতেন এলাকাবাসী। এখন এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের অবকাঠামো কয়েকটি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জনবলসংকটও তীব্র।

সুতারখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে একাধিকবার গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে গরু-ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আইলার পর লবণপানিতে ডুবে থাকায় এই কেন্দ্রের অবকাঠামো নষ্ট হয়ে গেছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা (এসএসিএমও) ও পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার (এফডব্লিউভি) থাকার জন্য যে আবাসিক কোয়ার্টার আছে, সেটা ভাঙাচোরা। তবে আলী আকবর গাজী নামে ইউপির একজন কর্মচারী সেখানে চার বছর ধরে পরিবার নিয়ে থাকছেন।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে সুতারখালী কেন্দ্রে একজন এফডব্লিউভিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁর এখানে থাকার কথা থাকলেও সপ্তাহে তিনি দুই দিন আসেন বলে জানালেন স্থানীয় ব্যক্তিরা, যদিও প্রতিদিনের হাজিরা খাতায় তাঁর উপস্থিতির সই আছে।

এফডব্লিউভি ইরানী সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, এখানে থাকার মতো অবস্থা নেই। সপ্তাহে তিনি তিনবার আসেন। তাঁকে সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেছেন। প্রসূতি মায়েরা এখানে আসেন। অথচ ওজন দেওয়ার মেশিন নেই, একটা থার্মোমিটার পর্যন্ত নেই। প্রসব করানোর ব্যবস্থা তো দূরের কথা; পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটা শয্যাও নেই। রক্তচাপ মেপে কিছু পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেন তিনি।  

উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন করে এসএসিএমও থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। তিনি অন্য একটি কেন্দ্রের দায়িত্বেও আছেন। এসএসিএমও রজত মণ্ডল বলেন, দুর্যোগপ্রবণ প্রত্যন্ত এলাকায় কেউ থাকতে চান না। সুযোগ পেলেই বদলি হওয়ার চেষ্টা করেন।

Related articles

Recent articles

spot_img