অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে সুরা আল্লাহর নাম ‘আর রাহমান’ দিয়ে শুরু করলেন—যিনি পরম ক্ষমাপরায়ণ, যত্নশীল ও দয়ালু—সে সুরার মাঝখানে তিনি জাহান্নামের এতটা ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরলেন কেন? আসলে এটি আল্লাহর করুণা প্রদর্শণের একটি পথরেখা। কারণ জাহান্নাম আছে। তাই আগে থেকেই জাহান্নাম সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন, যাতে আমরা এর থেকে আল্লাহ্র দয়া পেতে পারি। এই দয়াই তো আল্লাহর দেওয়া উপহার। আগে জানা থাকলে নিজেকে আমরা এর থেকে রক্ষা করতে পারি।
জাহান্নামের পরে জান্নাতের বর্ণনার শুরু। ‘আর যে তার রবের সামনে দাঁড়াতে ভয় করে তার জন্য রয়েছে দুটি জান্নাত।’ প্রথমে আল্লাহ ভয় দেখিয়েছেন। তারপর বলছেন, সেই ভয় যদি আমাদের চিত্তকে সরল পথে চালিত করতে পারে, তাহলে আছে জান্নাত।
এই সুরার জান্নাতের বর্ণনা দুটি অংশে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম অংশে আছে কোরআন নাজিলের মহিমা বর্ণনা; দ্বিতীয় অংশে আল্লাহর দেওয়া দুনিয়ার উপহারের সৌন্দর্য বর্ণনা।
যারা আল্লাহর বর্ণনা করা এসব বিষয়কে অস্বীকার করে তাদের পরিণাম বিচার দিবসের পর জাহান্নামের আগুন। আর যারা তাঁর সতর্কবাণী শুনে ভয় পায় তাদের জন্য রয়েছে দুটি বাগান। এর পর বাগানের বর্ণনার শুরু। সে বাগানে আছে চমৎকার সব ফলফলাদি, আনতনয়না তরুণী, আর উচ্ছল ঝরনাধারা।
তারপর বলা হয়েছে সেখানে থাকবে পবিত্র ও মনোরমা নারী। তাঁবুর জেনানায় থাকবে হুর, যাদেরকে কেউ কখনো স্পর্শ করেনি। ওরা বসবে সুন্দর গালিচা বিছানো সবুজ চাদরে হেলান দিয়ে। এটি দ্বিতীয় জান্নাতের বর্ণনা।
দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এই সুরায় বান্দাদের আল্লাহর প্রতি ইমান আনার আহ্বান জানিয়েছেন